দিং লিরেনের সাক্ষাৎকার
Ding Liren
(দিং লিরেন, চাইনিজ ইতিহাসের সবচে শক্তিশালী খেলোয়াড় এবং বিশ্বে অবস্থান তিন নম্বর। চেসডটকমের ডেভিড কক্স’কে দেয়া এক সাক্ষাতকারে তিনি বলছেন তার ১০০-গেম অপরাজেয় থাকা নিয়ে। এছাড়া শীর্ষ দাবার হালচালসহ ব্যক্তিগত অনেককিছুই অকপটে স্বীকার করছেন তিনি।
বাবা একজন ইলেকট্রিক্যাল ইঞ্জিনিয়ার, মা নার্স। ওয়েনঝু’র উপকূলবর্তী শহরে বেড়ে ওঠেন দিং লিরেন। কখনো ভাবেননি চাইনিজ ইতিহাসের সবচে শক্তিশালী খেলোয়াড় হয়ে উঠবেন! তরুণ বয়স থেকেই রেখেছেন মেধার স্বাক্ষর। জিতেছে দুইটি ওয়ার্ল্ড ইয়োথ টাইটেল এবং চায়নার সবচেয়ে সম্মানজনক জুনিয়র প্রতিযোগিতা। পিকিং ইউনিভার্সিটি থেকে আইন বিষয়ে পড়াশোনাও শেষ করেছেন ইতোমধ্যে।)
গত ১০ বছরে চাইনিজ দাবায় এসেছে বিশাল পরিবর্তন। আপনি এবং ওয়াং হাও, ইতিহাসে প্রথমবারের মত দুইজন চাইনিজ হিসেবে ক্যান্ডিডেটস টুর্নামেন্ট খেলবেন। পূর্বাঞ্চলে দাবায় এরকম পরিবর্তনের মূল কারণ কি?
- শিশু এবং শিক্ষার্থীদের মধ্যে দাবা বেশ জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। এর কারণ হিসেবে আমি মনে করি স্কুলের বিভিন্ন প্রোগ্রাম, গুরুত্বপূর্ণ দলগত প্রতিযোগিতায় ভালো ফলাফল; Hou Yifan, Tan Zhongyi andJu Wenjun-র মত মহিলা বিশ্বচ্যাম্পিয়নদের অনুপ্রেরণা কাজ করেছে। সাম্প্রতিককালে পুরুষ দলের অলিম্পিয়াড এবং দলগত বিশ্বচ্যাম্পিয়নশিপ জয় অনেক মনোযোগ কেড়েছে সবার। তাই এখন অনেক বাবা-মা তাদের সন্তানদের এই খেলায় যেতে উৎসাহিত করছেন। কিন্তু আমাকে বলতেই হবে, দাবা এই মুহুর্তে গো কিংবা চাইনিজ দাবার মত অতটা জনপ্রিয় না। চায়নায় গো-ই সবচে জনপ্রিয় খেলা। অনেক চাইনিজ দর্শন গো গেমে নিহিত। আবার সাম্প্রতিক সময়ে Ke Jie এবং AlphaGo’র মধ্যকার ম্যাচ এই খেলার জনপ্রিয়তা বাড়িয়েছে বহুলাংশে।
কীভাবে আপনি গো গেমে একজন শীর্ষ খেলোয়াড় হওয়ার বদলে দাবায় আসলেন?
- ১৯৯৫ সালে ওয়েনঝুতে, চায়না থেকে আসা প্রথম মহিলা বিশ্বচ্যাম্পিয়ন শি জুন এবং ভিক্টর কর্শনয়ের মধ্যে একটি বিখ্যাত ম্যাচ অনুষ্ঠিত হয়। এই ম্যাচের শেষে ওয়েনঝু শহরকে ‘দাবার শহর’ বলে অভিহিত করা হয়। সুতরাং, সেই সময়ে দাবা শেখবার জন্য একটা ভালো আবহাওয়া ছিল সেখানে। যখন আমার বয়স চার বছর ছিল, আমাকে একটি দাবা ক্লাবে ভর্তি করানো হয়। আমি খুবই ভাগ্যবান যে চেন লিশিং’এর মত একজন কোচ পেয়েছিলাম যিনি জু শেন’কে একজন শীর্ষ দাবাড়ু হতে সাহায্য করেছিলেন।
শি জুন এবং ঝু শেনের কথা যেহেতু এলোই, চায়নায় সবসময়ই শক্তিশালী পুরুষ খেলোয়াড় থাকলেও ঐতিহাসিকভাবে নারী দাবাড়ুরাই বিশ্বময়দান দাপিয়েছে। মাত্র এই সাম্প্রতিক সময়েই পুরুষ দাবাড়ুরা একটা শক্তিশালী বলয় তৈরি করতে পেরেছে। আপনি, Yu Yangyi এবং Wang Hao- সবাই শীর্ষ ২০ এ আছেন। এরকম কেন হলো বলে মনে করেন?
- প্রথমত আমি বলতে চাই, আমাদের বর্তমান মহিলা দল অতীতের দল থেকে অনেক বেশি শক্তিশালী। তারা দুই দুইটি অলিম্পিয়াড জিতেছে! কিন্তু পুরুষ দলে আমাদের বেশ কিছু প্রতিশ্রুতিশীল তরুণ দাবাড়ু আছেন, যেমন Wei Yi। এরকম হবার কারণ হিসেবে বলা যায়, বিশ বছর আগে একটা ঐতিহ্য ছিল যে Ye Jiangchuanএবং Xu Jun-র মত দেশের শীর্ষ পুরুষ দাবাড়ুরাই মহিলা খেলোয়াড়দের প্রশিক্ষণ দেবে। টুর্নামেন্টের সময় তারা ওপেনিং প্রস্তুতিও তৈরি করে দেবে। কিন্তু আমরা এখন সবাই নিজেদের মত কাজ করি। যদি মহিলা খেলোয়াড়রা নিজেদের দক্ষতা বাড়াতে চান তবে তাদেরকে টাকার বিনিময়ে প্রশিক্ষক আনতে হবে।
কখন বুঝতে পেরেছিলেন যে আপনি একজন পেশাদার দাবাড়ু হিসেবে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করতে পারবেন?
- ২০০৯ সালে, যখন আমার বয়েস ১৬ কি ১৭- তখন সিদ্ধান্ত নেই দাবায় পেশাদার ক্যারিয়ার বেছে নেবো। এর আগে আমার বয়সী খেলোয়াড়দের সাথে জুনিয়র বিভাগে বেশ ভালোই ফলাফল ছিল। যেমন, চায়নায় খুবই বিখ্যাত এক টুর্নামেন্ট হয়, নাম Li Chengzhi কাপ, যা অনেকটা চাইনিজ জুনিয়র চ্যাম্পিয়নশীপের মতই। এরপর ২০০৯ সালে আমি চাইনিজ চ্যাম্পিয়নশীপ জিতি। ওয়াং হাও’র মত দাবাড়ুকে হারাই, তখন তার রেটিং আমার চেয়ে অন্তত ২০০ বেশি ছিল। খেলার মানগুলোও ছিল তুলনামূলক উঁচু। এরপরের বছর পিটার লেকো’র এক সাক্ষাতকার পড়ি যেখানে তিনি বলেছেন- তিনি নাকি আমার খেলা দেখছিলেন এবং আমার খেলাগুলো তাকে বেশ অনুপ্রেরণা দিয়েছিল। এই বিষয়টা আমাকে অনেক আত্মবিশ্বাসের যোগান দিয়েছিল। সুতরাং তাকে আমার ধন্যবাদ জানাতেই হবে।
প্রতিযোগিতামূলক দাবা খেলে টাকা আয় করা নিয়ে সমস্যা হতে পারে- এরকম ভেবেছিলেন কখনো?
- না। আসলে সেই সময়ে আমি সত্যিই জানতাম না দাবা খেলা ছাড়া আর কি করা যেতে পারতো। ছাত্র থাকাকালীন আমি অংকে বেশ ভালো ছিলাম। কিন্তু বিশ্ববিদ্যালয় পেরোনোর পর আমি বুঝতে পারি- আমি আসলে সাহিত্যই পছন্দ করেছিলাম।

সাহিত্যের চেয়ে আইনের ডিগ্রি নিয়ে পড়াশোনা আপনি কীভাবে শেষ করলেন?
- আইন পড়ে আমি আফসোস করছি না। মানে, এটা ইতোমধ্যে করে ফেলেছি। এখন আমি জানি আমি কি চাই এবং কি পছন্দ করি। আমাকে আবার পছন্দ করতে দেয়া হলে আমি এই ডিগ্রিটা করতাম না। চাইনিজ সাহিত্য আমার শখের। কিন্তু যদি আমাকে এটা পড়তে হতো, ঘণ্টা পর ঘণ্টা সময় ব্যয় করে পিছে পড়ে থাকতে হতো- তাহলে হয়ত আমি আগ্রহ হারাতাম। বিনোদন এবং বিশ্রামের জন্য আমি বই পড়ি, কোনোকিছুর সমালোচনা করতে নয়।
আলাদাভাবে ইংরেজি ভাষার কোন লেখকদের পছন্দ করেন?
- সম্ভবত, আমেরিকান ছোটগল্প লেখক রেমন্ড কার্ভার। তার লেখা অনেক বই পড়েছি আমি। জাপানিজ লেখক হারুকি মুরাকামির লেখাও ভালো লাগে; তিনি অনেকবার নোবেল পুরষ্কারের জন্য মনোনীত হয়েছিলেন। নরওয়েজিয়ান উড নামে তার বিখ্যাত একটি বই আছে।
পূর্বে বলেছিলেন সাহিত্যের প্রতি ভালোবাসা আপনাকে শীর্ষ পর্যায়ের দাবায় বিশ্রামে সাহায্য করে। বড় বড় টুর্নামেন্টের সময় এই চাপটা কীভাবে সামলান?
- প্রত্যেক খেলার আগে আমি একটু নার্ভাস এবং উদ্বিগ্ন থাকি, বিশেষত শক্তিশালী খেলোয়াড়দের বিপরীতে। কিন্তু আমার প্রস্তুতি ভালো থাকলে খেলার সময় স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করি। সাধারণত, আমি শান্ত থাকি, ভালো ঘুম এজন্য জরুরি। ঘুমটা ভালো হলে মেজাজ ভালো থাকে। শুরুটা খুব ভালো করে করা যায়। কিন্তু ক্লান্ত থাকলে মাথা ঠিক করে কাজ করতে পারে না। তখন খেলার সময় আমি পানি অথবা চা পান করি এবং খেলায় মনোযোগ দিতে চেষ্টা করি। কিন্তু একটা ভালো অবস্থায় না থাকলে এগুলো অনেক কঠিন।
খেলার সময় প্রতিপক্ষের শারিরীক ভাষা পড়তে পারার ক্ষমতাটুকু কতখানি গুরুত্বপূর্ণ?
- মাঝেমাঝে এটা আমাকে খুব প্রভাবিত করে। কিছু খেলোয়াড় আছেন- যারা খুবই আত্মবিশ্বাসী। প্রত্যেক চালের পর তারা চেয়ার ছেড়ে উঠে যান, নানারকম ছোটখাটো জিনিস করতে থাকেন- এটা বোঝানোর জন্য যে সবকিছুই নিয়ন্ত্রণে আছে! যদি কোনো চাল আমাকে বিস্মিত করে তখন আমি খানিক আত্মবিশ্বাস হারিয়ে ফেলি, এবং প্রতিপক্ষ দ্বারা প্রভাবিত হয়ে পড়ি বেশি। মাঝেমাঝে আমার সিদ্ধান্ত পরিবর্তিত হয় এবং কোনো নির্দিষ্ট পজিশনে উক্ত মূল্যায়ন সত্যিকারভাবেই বিঘ্নিত হয়।
গতবছরের ক্যান্ডিডেটস টুর্নামেন্টে আপনিই প্রথম চাইনিজ খেলোয়াড় ছিলেন প্রতিযোগি হিসেবে। এই বিষয়টা কি কোনোপ্রকার চাপ সৃষ্টি করছিল?
- হ্যাঁ। প্রতিটা রাউন্ডের পর মিডিয়া কাভারেজ হত এবং যারা খেলাটা বুঝতো না তারাও নানারকম মন্তব্য করা শুরু করেছিল। সেগুলো খুব বেশি একটা পড়তাম না আমি। টুর্নামেন্ট চলাকালীন আমার মা সাথে থাকতেন। আমার জন্য রান্না করতেন, নানারকম অভিজ্ঞতার মুখোমুখি হতে সাহায্য করতেন।
আপনি এখন বিশ্ব র্যাংকিং-এ তৃতীয়, ২০২০ সালের ক্যান্ডিডেটস টুর্নামেন্টেরও অন্যতম ফেভারিট। দেশে কিরকম সাড়া পাচ্ছেন?
- আমি আসলে জানি না। চায়নায় আমাদের টুইটার বা ফেসবুক নেই। আর উইবো’তেও (উইবো-চাইনিজ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম) আমি খুব বেশি বসি না। অনেক বিখ্যাত গো-খেলোয়ারদের উইবো’তে ভি আই পি একাউন্ট আছে, কিন্তু আমার একাউন্টে ফলোয়ার অল্প কয়জন। বিষয়টা ঠিক আছে। আমি বিখ্যাত হতে চাই না। চাই না আমাকে নিয়ে প্রতিদিন লেখালেখি হোক কিংবা প্রতিটা টুর্নামেন্টের পর সাক্ষাৎকার নেয়া হোক। আমি আমার নিজের মত একটা জীবন চাই, নিজের জন্য সময় চাই। বিখ্যাত হবার মূল্য অনেক। বিখ্যাত হলে অবশ্যই আমি অনেক টাকা আয় করতে পারবো, কিন্তু তখন নিজের জন্য কোনো সময় থাকবে না। যদি কোনো ভুল কিছু করি তাহলে আমাকে নিয়ে অনেক কথাবার্তাও হবে!
সহজ সরল জীবন যাপনের কথা যেহেতু আসলো, কখনো কি ভেবেছেন বাবা-মা’র বাড়ী থেকে বের হয়ে নিজের মত অন্য কোথাও বাস করবেন?
- আমি মনে করি- কারু সাথে একটা সম্পর্কে গেলে তখন হয়তো এটা করা সম্ভব। একা একা বাস করার কোনো ইচ্ছা আমার নাই। মাঝেমাঝে আমি আমার দাদা-দাদীদের সাথে সময় কাটাই। তারা কাছাকাছিই থাকেন। বাবা-মা বাইরে কাজ করতে গেলে তাদের কাছে যাই আমি। চায়নায় এই সংস্কৃতি আবার অন্যরকম। বিয়ে করলে কিংবা থিতু হবার মতো কেউ একজন হলে কেবল তখন নিজের ফ্ল্যাট পাওয়া যায়।
পেশাদার দাবা খেলোয়াড়রা কি একটা সম্পর্ক বজায় রাখা কঠিন করে তোলে?
- হ্যাঁ, আমাকে একমত হতেই হবে। প্রায় প্রত্যেক সম্পর্কের ক্ষেত্রে- বছরের অধিকাংশ সময়ে দূরে দূরে থাকাটা একটা সমস্যা। বিশেষত, এই বছর আমি অনেক টুর্নামেন্ট খেলেছি। গত জুনের পুরোটাই কাটিয়েছি ইউরোপে। এইরকম অবস্থার সাথে মানিয়ে নেবে এমন কাউকে খুঁজে পাওয়া সত্যিই দুষ্কর। আমার শেষ সম্পর্কটা গতবছরের শেষে এভাবেই ভেঙে গেছে, এত বেশি ভ্রমণ করা বোধহয় একটা কারণ।
আমার মনে হয় শীর্ষে পৌঁছতে হলে আপনাকে এক নিবিষ্টচিত্ত থাকতে হবে। আপনার ১০০ গেম অপরাজেয় থাকার বিষয়টা নিয়ে কিছু বলুন। এত দীর্ঘ সময় অপরাজেয় থাকাটা কীভাবে সম্ভব হলো?
- সত্যি কথা বলতে কি- আমি এগুলো নিয়ে কখনো ভাবিনি। আমার ম্ননে হয় সব শক্তিশালী দাবাড়ুরা কেবল দাবার ওপর মনোযোগী থাকে। গণমাধ্যম আপনাকে রেকর্ড করা বিষয়ে জিজ্ঞেস করবে, কারন আপনি ৯৯ টা গেম অপরাজেয় থেকে এসেছেন। আমি এই বিষয়ে বেশি না ভাবতে চেষ্টা করি। কিন্তু এই রেকর্ডটা খুব অদ্ভুত ছিল। বিশেষত ক্যান্ডিডেট টুর্নামেন্টে ১৪ টা গেমের ১৩ টাই ড্র করা। সেগুলোর ভেতর অনেক গেম আমি হারতে পারতাম, আবার অনেক গেম জিততে পারতাম। সবাই-ই তাদের নিজস্ব জায়গা থেকে হেরে যাওয়াটা অপছন্দ করে। সেটা প্রতিরোধ করতে তারা সম্ভাব্য সকল কিছুই চেষ্টা করে।
ম্যাক্সিম ভাশিয়ের-লেগ্রাভের কাছে ২০১৮ সালের নভেম্বরে হেরে যাওয়ার মাধ্যমে আপনার অপরাজিত থাকার বিষয়টা শেষ হয়। সার্গেই টিকিয়াকভ, যিনি টানা ১১০ ম্যাচ অপরাজিত থেকে রেকর্ড গড়েছিলেন- তাকে পেরোতে না পারা আপনাকে হতাশ করেছিল? (এই সাক্ষাৎকার নেবার সময় ম্যাগনাস কার্লসেন টিকিয়াকভের রেকর্ড ভেঙে নতুন রেকর্ড তৈরি করেন)
- যেহেতু অনেক লম্বা সময় ধরে ক্লাসিকাল কোনো গেমে আমি হারিনি- সেহেতু সেই অর্থে পরাজয়ে খুব বেশি অভ্যস্ত নই আমি। সাধারণত কনো গেমে হেরে গেলে আমি বেশি কথা বলতে চাই না। বরং আমাকে বসে বের করতে হয় গেমে ঠিক কি হয়েছিল, কোন জায়গায় আমি ভুল খেলেছি…অথবা কোন চালটা। কিন্তু একবার বের করে ফেলতে পারলে তখন স্বাভাবিক বোধ হয়। আমি জানতাম যে টিকিয়াকভের দীর্ঘসময় অপরাজেয় থাকার রেকর্ড আছে। কিন্তু হতে পারে আরো অনেক দাবাড়ু আছেন- যারা এরচেয়েও দীর্ঘসময় অপরাজিত থেকেছেন কিন্তু কেউ পাত্তা দেননি! এছাড়া তার এই রেকর্ড কিন্তু শীর্ষ পর্যায়ের দাবায় হয়নি, তাই হয়ত এই রেকর্ড নতুন করে গড়াটাও অত গুরুত্বপূর্ণ নয়।
সবশেষে, গত কয়েকবছর দাবায় আপনার ফলফল অনুযায়ি- আপনি কি বিশ্বাস করেন আপনি বিশ্বচ্যাম্পিয়ন হতে পারবেন? কার্লসেনকে চ্যালেঞ্জ করতে পারবেন?
- আমার মনে হয়- হয়ত কার্লসেন বুড়ো হয়ে যাওয়া পর্যন্ত আমাদের অপেক্ষা করতে হবে! সত্যিই তাকে চ্যালেঞ্জ করতে পারি না আমি, সে শীর্ষ অবস্থানে আছে। কেউই তাকে হারাতে পারে না। কিন্তু যদি সে তার উত্তম অবস্থানে না থাকে- অর্থাৎ বুড়ো হতে শুরু করে, তখন হয়ত সুযোগ আছে কিছুটা। সত্যি বলতে কি, বিশ্বচ্যাম্পিয়নশিপ ম্যাচ পর্যন্ত পৌঁছানো আমার পক্ষে সম্ভব না। মাই কোনোদিন এরকম ভাল ফলাফল করবার কথা ভাবিনি, সুতরাং, আমার জন্য চলনসই। ইতোমধ্যে চাইনিজদের ভেতর সবচে ভালো দাবাড়ু হবার মাধ্যমে সকল প্রত্যাশা ছাড়িয়ে গিয়েছি।

চেসডটকমের ডেভিড কক্স'কে দেয়া একটা সাক্ষাৎকার। মূল সাক্ষাতকারটা পড়তে এখানে ক্লিক করুনঃ